দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডে ভ্যান চালক মজিবর ইসলামের তিনটি গরু ও দুইটি ছাগলসহ বসতবাড়ি পুরে ছাই হয়ে গেছে।

১০ই মে (মঙ্গলবার) মধ্যরাতে উপজেলার ৪ নং খামারপাড়া ইউপির বোটেরহাট মাস্টারপাড়ায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ওই পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে গেছেন। সর্বস্ব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন দরিদ্র এই ভ্যানচালক পরিবারের সদস্যরা।


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত মনতা আলীর ছেলে মজিবর রহমান পেশায় একজন ভ্যানচালক। এনজিও ও বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে টাকা ধারদেনা করে পাঁচ কক্ষ বিশিষ্ট একটি বাড়ি তৈরী করেন। তার পরিবারে রয়েছে দুই ছেলে। একজন বাবার মতই ভ্যানচালক আরেক ছেলে প্রতিবন্ধী।
এই দুই ছেলে,স্ত্রী ও মা’ কে নিয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবার তার। ভ্যান চালানো টাকায় কোনো রকমে অভাবের সংসারটি পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই গতকাল তার বসতবাড়িতে আগুন লাগে। এমনকি মুহুর্তের মধ্যে আগুনে সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তার পরিবারের সদস্যদের পরিহিত কাপড় ছাড়া আর কোনো কিছু রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এরপর থেকে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন দরিদ্র ওই পরিবারটি।

ক্ষতিগ্রস্ত মজিবর রহমান জানান, স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হলেও মুহুর্তের মধ্যেই তার বসতবাড়ির পাঁচটি কক্ষ তিনটি গরু ও দুইটি ছাগলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্রসহ সংসারের প্রয়োজনীয় সবকিছু পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে। অগ্নিকান্ডে ৮-৯ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা হলে তারা জানান,বসতবাড়িতে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে খানসামা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের কার্যালয়ে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু আগুন লাগার ১০-১৫ মিনিটেই সব ভম্মিভূত হয়ে যায় বাড়িটি। গ্রামবাসী অনেক চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে ব্যর্থ হন। আর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আসার আগেই বসতবাড়িটির সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

খানসামা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন লিডার আবু সায়েম অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা অগ্নিকান্ডের খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে যাই কিন্ত আগুিকান্ডের ১০ মিনিটেই সব পুরে যায়। ধারণা করা হচ্ছে কয়েলের আগুন থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সুত্রপাত।